সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩৬ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ছবি তোলার অপরাধে সাংবাদিক গ্রেফতার, অত:পর মুক্তি। কালের খবর মুরাদনগরে তীব্র গরমে একই বিদ্যালয়ের ৭ শিক্ষার্থী অসুস্থ। কালের খবর ফায়ার ও পরিবেশ ছাড়পত্র জানতে চাওয়াতে ম্যানেজার সাকিল, সাংবাদিকের সাথে অশুভ আচরণ। কালের খবর সাতক্ষীরার আলীপুরে বিএনপির বহিস্কৃত নেতা আব্দুর রউফ বিজয়ী। কালের খবর মুরাদনগরে বাস-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে ১জন নিহত। কালের খবর স্বাধীন সাংবাদিকতা রক্ষায় সাংবাদিকদের নিরাপত্তা জরুরি। কালের খবর সাতক্ষীরায় চার পিচ স্বর্ণের বার সহ আটক এক। কালের খবর সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুই। কালের খবর তারুণ্যের অহংকার ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবিদ হাসান রুবেল নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত। কালের খবর এক দফার আন্দোলনকে ব্যর্থ করতে বর্তমান যুবদল সরকারের সাথে আঁতাত করেছিল : অভিযোগ সাবেক নেতাদের। কালের খবর
গরুর দুধে জীবাণু নিয়ে যা বলছে খাদ্য নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ : বিবিসির প্রতিবেদন। কালের খবর

গরুর দুধে জীবাণু নিয়ে যা বলছে খাদ্য নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ : বিবিসির প্রতিবেদন। কালের খবর

কালের খবর ডেস্ক :

বাংলাদেশের উচ্চ আদালত দুধ, দই এবং গো-খাদ্যে যারা ভেজাল মিশিয়েছে তাদের বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বুধবার দেশটির খাদ্য নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে। উচ্চ আদালত এই প্রতিবেদনের জন্য ১৫ই মে পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে।

দুধের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক কীভাবে আসছে সেটি খুঁজে বের করতে এবং তা বন্ধে কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নিচ্ছে সেটিও জানাতে বলেছেন আদালত।
চলতি ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সরকারি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ফুড সেফটি ল্যাবরেটরি একটি গবেষণা চালায়। সেই গবেষণায় গরুর দুধ এবং দই এর মধ্যে বিপদজনক অণুজীব, এন্টিবায়োটিক, কীটনাশক এবং সিসা পাওয়া যায়। এই প্রতিবেদন গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে ১১ই ফেব্রুয়ারি আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন। এ ব্যাপারে ১৫ দিনের মধ্যে একটি জরিপ প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্যে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট ।

কী পাওয়া গেছে গবেষণায়
গত ফেব্রুয়ারি মাসে সরকারি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ফুড সেফটি ল্যাবরেটরির গবেষণায় দেখা যায়, গরুর দুধের ৯৬টি নমুনার মধ্যে ৯ শতাংশ দুধে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি কীটনাশক রয়েছে। সংগৃহীত নমুনার ১৩ শতাংশে টেট্রাসাইক্লিন, ১৫ শতাংশে সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি মাত্রায় সিসা রয়েছে।

বিভিন্ন ধরনের অণুজীব রয়েছে ৯৬ শতাংশ দুধে।
এদিকে প্যাকেট-জাত দুধের ৩১টি নমুনায় ৩০ শতাংশে সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি হারে পাওয়া যায় টেট্রাসাইক্লিন, একটি নমুনায় মিলেছে সিসা। একই সঙ্গে ৬৬ থেকে ৮০ শতাংশ দুধের নমুনায় বিভিন্ন অণুজীব পাওয়া গেছে।

দইয়ের ৩৩টি নমুনা পরীক্ষা করে একটিতে সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি সীসা পাওয়া গেছে। আর ৫১ শতাংশ নমুনায় মিলেছে বিভিন্ন অণুজীব।

কী বলছে খাদ্য নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ?
খাদ্য নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষের সদস্য মঞ্জুর মোর্শেদ আহমেদ বিবিসিকে বলেন, বিষয়টা বুঝতে হবে, জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে লাভ নেই।

তিনি বলছিলেন, তরল দুধ যেটা ‘র-মিল্ক’ সেটাতে সব সময় ব্যাকটেরিয়া থাকে। এখন প্রশ্ন হল আমাদের দেশে গরু পালন এবং গরুর দুধ বাজারজাতকরণের যে পদ্ধতি সেখানে ব্যাকরেটিয়ার সংক্রমণ ঠেকানো খুব কঠিন। গরুর দুধ যদি কেউ ফুটিয়ে পান করে তাহলে সেই ঝুঁকিটা থাকে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।

আপনাকে বুঝতে হবে এটা ভেজালজাত করা হচ্ছে না। এখানে বিষয়টা এমন না যে জীবাণু কেউ মেশাচ্ছে। জীবাণু হয়ত গ্রহণযোগ্য মাত্রায় ছিল যখন সেটা তৈরি হয় কিন্তু পরে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় না রাখার কারণে সেটা অগ্রহণযোগ্য মাত্রায় চলে যাচ্ছে, বলছিলেন মোর্শেদ আহমেদ।
সূত্র: বিবিসি বাংলা

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com